দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবুঃ
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস নিন্ম আয়ের মানুষদের, আয় কম খরচ বেশি, সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সারাদিনের খাটুনি তার উপরে সংসারে চালাতে ব্যার্থ প্রায় প্রতিটি নিন্ম আয়ের সংসারের কর্তারা। কি করে সংসার, দেনার দায়, বাচ্চার লেখাপড়া, পারিপাশ্বিক খরচের বহর এমন হাজারো প্রতিকুল পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেই ভাবনায় মসগুল সারাক্ষন নিন্ম আয়ের মানুষেরা। কামলা দেওয়া টাকায় সংসার খরচ করে শূন্য পকেটে কর্তার চোখে যেনো চোখে শরিষা ফুল। রঙ্গিন পৃথিবী ধুসর মরুভুমি যেনো তার কাছে।
একজন কৃষক জমিতে ফসল করে নিজের খোরাকি রেখে, সার ও কিটনাশকের মূল্য চুকিয়ে লাভ তো দুরের কথা হালখাতার সময় মহাজনের কাছে মিনতির সুরে বলছে এর বেশি পারছি না, নতুবা বলছে সুদে না হয় ধার করে যা পেরেছি তাই নাও বাকিটা পরে শোধ দিয়ে দেবো, এর পর মহাজনের চোখ রাঙানি।
একজন দিনমজুর মাঠে কোন ফষলি জমি নেই সারা বছর কামলা খাটে, কোন রকমে চলে, দিন আনা দিন খাওয়া, পরিবারটির কি অবস্থা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে, ভেবে দেখেছেন কি বিত্তবানরা? চাকরির টাকায় সংসার চলে তার উপর বেতন বৃদ্ধির বায়না।
দিন মজুর হতাশাগ্রস্থ এক মহাশয়ের কাছ থেকে জানাগেছে তিনি সংসার ও দেনার দায় মেটাতে জমির একটি অংশ টাকার বিনিময় বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চিন্তা করুন কতোটা অসহায় হয়ে হয়ে পড়েছে খেঁটে খাওয়া দিন মজুর পরিবার গুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজনের কাছ থেকে জানতে পারা গেছে তিনি মহাজনের দেনা পরিষোধের জন্য চড়া সুদে টাকা নিয়েছেন তাও এক জন মহাজনের দেনা পরিষোধ করবে এখনও অন্য দেনা বাকি রইলো।
একজন পরিবারের কর্তা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, বৃদ্ধ পিতা, মাতা, আত্বীয় স্বজন রক্ষা করে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের বাড়বাড়ন্তে। নিজেকে ব্যার্থ কর্তার পরিচয় দিতে হচ্ছে সংসারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।